Know About Karna Pishachini Vidya : ধরা যাক, আপনি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ট্যারো কার্ড রিডার হিসেবে। অথবা হাত দেখতে পারেন জানিয়ে নতুন চেম্বার খুলেছেন। কিন্তু এখনও তেমন পরিচিতি তৈরি হয়নি, পসার ঠিক জমে ওঠেনি| আপনার কাছে গুটিশুটি পায়ে হাজির হওয়া সবেধন নীলমণি ক্লায়েন্টের ভূত-ভবিষ্যৎ যদি আপনার কানে কানে নিখুঁত বলে যায় কেউ, ভাবতে পারছেন কী মাত্রায় তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন সে সব বলে। আপনাকে তো ত্রিকালজ্ঞ বলে মাথা নোয়াবে ক্লায়েন্ট। আর তার পর আপনার সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়তে বিন্দুমা্ত্র সময় লাগবে না! চেম্বারে ক্লায়েন্টদের মস্ত লাইন পড়ে যাবে।
কী ভাবছেন? এ সব শুধুই ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখা? ভুল ভাবছেন।
কয়েকটি তান্ত্রিক টেক্সট বলছে, এ সবই হওয়া সম্ভব, যদি সিদ্ধ হতে পারেন কর্ণপিশাচিনী সাধনায়। কর্ণপিশাচিনী? সেটা আবার কী সাধনা? আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
নামেই বোঝা যাচ্ছে, কানের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সাধনার। এই সাধনা পুরুষদের জন্য| বলা হয়, এই সাধনায় সিদ্ধিলাভ করলে কর্ণপিশাচিনী সারাক্ষণ সাধকের সঙ্গে থাকে আর কানে কানে কথা বলতে শুরু করে। সাধকের সব প্রশ্নের উত্তর দেয় সে। সাধকের সামনে কোনও ব্যক্তি এলে তার ভূত-ভবিষ্যৎ সব কিছু সাধকের কানে গড়গড় করে বলে দেয় কর্ণপিশাচিনী। তবে তার কণ্ঠ সাধক ছাড়া আর কেউ শুনতে পায় না। এ যেন অনেকটা ফোনে জানানোর মতো! তবে এ ফোন তো অদৃশ্য! কর্ণপিশাচিনীর বলে দেওয়া কথা কাজে লাগিয়ে সাধক পেয়ে যেতে পারেন যশ-অর্থ-খ্যাতির মতো পার্থিব সুখ যত! হঠাৎ নাম আর অর্থ কামাতে এই সাধনার নাকি জুড়ি মেলা ভার!
তবে এই পিশাচিনীর সংস্পর্শে আসা মানে ধ্বংসের হাতছানিতে সাড়া দেওয়া। চটজলদি ইচ্ছেপূরণ করলেও এ আসলে নেগেটিভ এনার্জি। তাই আগেই বলে রাখি, READ AT YOUR OWN RISK. নিজের সাবধানতা নিজের কাছে। কেন? সামলাতে না জানলে সাধকের সামনে কিন্তু সমূহ বিপদ! কেমন বিপদ? কর্ণপিশাচিনীকে যৌনতৃপ্তি দেওয়া এই সাধনার অন্যতম প্রধান শর্ত। আবার সেই যৌনতৃপ্তি দেওয়ার কাজ মোটেই সোজা নয়| নিজের বীর্যপাত হবে না, অথচ পিশাচিনী সঙ্গমে তৃপ্ত হবেন, এমনটা হলে তবেই সাধক পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধি। আর যদি সাধক বিবাহিত হন, তা হলে সবার আগে ত্যাগ করতে হবে স্ত্রীকে। না হলে কিন্তু মৃত্যু হতে পারে তাঁর প্রিয়তমার। কেন? সাধক যৌনসঙ্গীর হৃদয় জুড়ে অন্য কেউ, এ যে একেবারেই সহ্য করতে পারবে না কর্ণপিশাচিনী।
লোকসমাজে অচল এমন কিছু কঠোর নিয়ম মেনেই নাকি কর্ণপিশাচিনীকে আহ্বান করার মন্ত্রোচ্চারণ করতে হয়। সব কিছু ঠিক ভাবে হলে সাধনা চলাকালীনই একদিন হঠাৎ নারীকণ্ঠ শুনতে পান সাধক। কানে কানে কথা বলে পিশাচিনী। বোঝা যায়, সাধনায় সাড়া দিয়েছে সে। এর পরে ধীরে ধীরে সাধকের সামনে সে আসে।
আর ঠিক এর পরেই শুরু হয় সর্বনাশা খেলা। কারণ পিশাচিনী আসে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায়। অবশ্য সাধনায় সে যদি তুষ্ট হয়, তবেই। সাধকের কানে ক্রমাগত কথা বলতে শুরু করে সে। এই মুহূর্তে সাধক নিজেকে অপার শক্তির অধিকারী বলে অনুভব করে। কারণ ভূত-ভবিষ্যৎ-বর্তমান সবই তার চোখের সামনে ছবির মতো ভেসে ওঠে এই সময়ে।
তারপর কী হয়? বলব পরের পর্বে।
কণ্ঠ: তৃণঞ্জনা দাস
Eisamay Gold/spirituality/sex and the secret of karnapichasini in indian tantra